ভাঙা হোটেল রান্না ভালো

20180916_092003
শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

গিয়েছিলাম কুষ্টিয়া থেকে
চৌদ্দ মাইল দূর
জায়গাটা ভাই খুবই সুন্দর
নামটি মধুপুর।

লাগছে খিদে তাইতো গেলাম
ভাঙা হোটেল ঘরে
পানির কলে হাতমুখ ধুয়ে
বসলাম ডরে ডরে।

হোটেল ভাঙা নাজানি ভাই
রান্না কেমন হয়!
খেতে বসে বমি হয় কিনা
সেটাই ছিল ভয়!!

তাকিয়ে দেখি অনেক লোকেই
খাচ্ছে গরম ভাত
কেউবা আবার খাওয়া শেষে
ধুচ্ছে এঁটো হাত।

কিন্তু একটি মজার ব্যাপার
লক্ষ করলাম যখন
হোটেল ভাঙা খাদোক প্রচুর
অবাক হলাম তখন।

সবার পাতেই মাংস দেখে
চক্ষু চড়ক গাছ
কারো পাতেই দেখলাম নাকো
সবজি কিংবা মাছ।

তাদের দেখে আমিও বললাম
মাংস ভাতের কথা
হাপুর-হুপুর খাচ্ছে সবাই
পিঁপড়াও নিরব তথা।

গাঁও গেরামের চাউলের ভাত
সাথে মাংসের ঝোল
স্বাদের কথা কি বলবো ভাই
কেমনে বাজাই ঢোল?
20180915_150423

হায়রে একি স্বাদরে ভাই
কেমনে বুঝাই কারে!
পেট ভরে তো মন ভরে না
খাচ্ছি বারে বারে!!

স্বাদের চোটে পেটটা ভরে
খেলাম যে তিন বাটি
এমন রান্না খাননি যারা
জীবনটাই তার মাটি।

গাল-গল্প নয় খাঁটি সত্য
ভাঙা হোটেল ঘরে
এত সুন্দর স্বাদের রান্না
করল কেমন করে?

কার রান্না ভাই এত সুন্দর
খুঁজতে ছিলাম তাকে
কাছেই পেলাম সেই লোকটি
মাত্র কয়েক ডাকে।

রান্নার মতই মিস্টি গঠন
হাসি হাসি মুখ
আলাপ করে লাগল ভালো
জুড়িয়ে গেল বুক।

20180916_092123

নামটি তাহার ইকবাল হোসেন
পাঁচক, মালিক তিনি
চল্লিশ বছর এই রান্নাতেই
হাত পাকিয়েছেন যিনি।

আবার যদি যাই কখনও
সেই সে মধুপুরে
দুপুর বেলা খাবই খাবো
ঐখানে পেটপুরে।

যারা যাবেন কুষ্টিয়াতে
তাদেরও বলে যাই
একবার হলেও খাবেন সেথায়
যার তুলনা নাই।

Loading

Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *